বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড
স্টাফবাস কর্মসূচী
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের পরিবহন সেক্টর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকা মহানগরীতে স্বল্প আয়ের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াতে বিভিন্ন প্রতিকূলতা ও সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় ১৯৭৪ সালে সাবেক কর্মচারী কল্যাণ কমিটির ০২-০৫-১৯৭৪ তারিখের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কল্যাণমূলক কর্মসূচীর আওতায় ০১ টি বাস ক্রয় করে স্টফবাস কর্মসূচীর প্রবর্তন করা হয়। সরকারি কর্মচারীদের স্টাফবাসে যাতায়াতের ব্যাপক চাহিদার প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে নতুন গাড়ি ক্রয়ের মাধ্যমে স্টাফবাস কর্মসূচীতে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করে কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ ও নির্বাহী কমিটি স্টাফবাস কর্মসূচীর গুরুত্ব পর্যালোচনা করে এর কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণের জন্য ১২ (বার)টি বাস ক্রয়ের সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী ১২ (বার)টি বাস ক্রয়ের ফলে কর্মসূচীর পরিধি ব্যাপক প্রসার লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্টাফবাস কর্মসূচীতে আরো ১৪টি বাস সংযোজিত হয়েছে।
সেবার মৌলিক তথ্যাবলী :
সেবা প্রদানকারী অফিসের নাম |
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী |
সেবা প্রাপ্তির স্থান |
প্রয়োজনীয় সময় |
|
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর |
পরিচালক উপপরিচালক |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর |
৭ দিন |
|
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
আবেদন প্রাপ্তির পর গাড়ীতে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ৭ দিনের মধ্যে টিকেট প্রদান করা হয় |
|||
সেবা প্রাপ্তির শর্তাবলি
|
১. সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সময়মত অফিসে যাতায়াতের জন্য ঢাকা মহানগরী ও বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও জেলা পর্যায়ে রাঙামাটিতে স্টাফবাসে যাতায়াতের সুবিধা প্রদান করা হয় ২. স্টাফবাসে যাতায়াতের জন্য বড়বাসে প্রতি কিলোমিটারে ২০ পয়সা ও মিনিবাসে ৪০ পয়সা হারে মাসিক ভাড়া প্রদান করতে হয় ৪. প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অগ্রিম ভাড়া প্রদান করতে হয়। অন্যথায় পরবর্তী মাসের ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত ১০ টাকা প্রদান করতে হয় ৫. বোর্ডের নির্ধারিত আবেদন ফরম নং ১৪ (মিনিবাসের জন্য) পরিচালক বরাবরে একটি অগ্রায়ন পত্রের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হয় |
|||
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
আবেদনের সাথে অফিসিয়াল আইডি কার্ডের সত্যায়িত কপি |
|||
প্রয়োজনীয় ফি |
এজন্য কোন ফি প্রয়োজন হয় না |
|||
সংশ্লিষ্ট আইন |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (তহবিলসমূহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী |
|||
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা |
পরিচালক উপপরিচালক |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস